রবিবার ১০ আগস্ট ২০২৫ - ০৯:৩৮
বিদেশি যিয়ারতকারীদের অভিজ্ঞতা: বৈশ্বিক গণমাধ্যম ও সমাজে প্রভাব

যিয়ারতকারীরা যখন কোনো ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক স্থানে আগমন করেন, তখন তারা স্থানীয় সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, মানুষের জীবনধারা ও সামাজিক কাঠামোর সাথে প্রত্যক্ষভাবে পরিচিত হন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসান রেজা বলেন, বিদেশি যিয়ারতকারীদের অভিজ্ঞতা শুধু একটি ধর্মীয় ভ্রমণ নয়, বরং এটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানসিক বিনিময়ের এক অনন্য উদাহরণ। 
তিনি বলেন, যিয়ারতকারীরা যখন কোনো ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক স্থানে আগমন করেন, তখন তারা স্থানীয় সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, মানুষের জীবনধারা ও সামাজিক কাঠামোর সাথে প্রত্যক্ষভাবে পরিচিত হন। এই অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা ও মূল্যবোধকে প্রভাবিত করে, পাশাপাশি বৈশ্বিক পর্যায়ে একটি সংস্কৃতি-সংলাপের জন্ম দেয়।

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যম—বিশেষত টেলিভিশন, সংবাদপত্র, অনলাইন সংবাদপোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—এই অভিজ্ঞতাগুলোকে দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে প্রচার করে। ছবি, ভিডিও ও ব্যক্তিগত ব্লগের মাধ্যমে যিয়ারতের মুহূর্তগুলো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। ফলে বিদেশি দর্শকরা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে তথ্য পান না, বরং সেই সমাজের আতিথেয়তা, মানবিক মূল্যবোধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তাও উপলব্ধি করেন।

হাসান রেজা বলেন, এই প্রভাব সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। যিয়ারতকারীদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীর মাঝে একে অপরের প্রতি সম্মান, সহনশীলতা ও সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি করে। 
অন্যদিকে, কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে তা ভুল বোঝাবুঝি বা সাংস্কৃতিক দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। তাই যিয়ারত অভিজ্ঞতার বৈশ্বিক প্রভাব নির্ভর করে আতিথেয়তার মান, নিরাপত্তা, এবং যোগাযোগের উপর।

শেষে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে, বিদেশি যিয়ারতকারীদের অভিজ্ঞতা বৈশ্বিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে শুধু একটি স্থানের ভাবমূর্তি গড়ে তোলে না, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পর্যটন শিল্প, এবং বিশ্ব সমাজে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha